বার্সেলোনা অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপে ৯ নম্বরে উঠে

বার্সেলোনা অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপে ৯ নম্বরে উঠে

স্পেনের বার্সেলোনা ও গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবল ম্যাচে ৬-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়েছে স্বাগতিক বার্সেলোনা। এই জয়ে তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা এখন গ্রুপের ৯ নম্বরে অবস্থান করছে। অপরদিকে, তিন ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া অলিম্পিয়াকোস ৩২ নম্বরে অবস্থান করছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অলিম্পিয়াকোস বেশ আক্রমণাত্মক হলেও ২০ মিনিটের মাথায় তাদের একটি শট বার্সেলোনার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল গোলরেখার দিকে। তবে বার্সার গোলরক্ষক ভয়চেক সিজনিও সময়মতো রুখে দেন সেই আক্রমণ। এরপর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়েছে বার্সেলোনা। ৩৯ মিনিটে লোপেজ দলের দ্বিতীয় গোল করেন; দ্রো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বল পেয়ে তিনি দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে শক্তিশালী শট নেন।

বিরতির পর গ্রিসের ক্লাবটি আক্রমণে ফিরে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে। ৫০ মিনিটে এল কাবি হেড দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরে দেখা যায় বলটি এরিক গার্সিয়ার হাতে লেগেছিল, ফলে গোল বাতিল করা হয় এবং অলিম্পিয়াকোসকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে মরক্কোর ফরোয়ার্ড এল কাবি সফলভাবে গোল করেন। তবে চার মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার সান্তিয়াগো হেজে লাল কার্ড পান, যার ফলে অলিম্পিয়াকোস ১০ জনের হয়ে পড়ে এবং বাকি সময়ে আর বার্সেলোনার বিরুদ্ধে টিকতে পারে না।

৬৮ মিনিটে রাশফোর্ডকে বক্সে ফাউল করার কারণে বার্সেলোনাকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। স্পটকিকে ইয়ামাল গোল করে স্কোর ৩-১ করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বার্সেলোনা আরও দুটি গোল করে ব্যবধান বাড়ায়। আলেহান্দ্রো বাল্দের ডি-বক্সে ছোট পাস পেয়ে রাশফোর্ড গোল করে। দুই মিনিটের মধ্যে লোপেজ হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হাফ ভলিতে। ৭৯ মিনিটে রাশফোর্ড নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন, পেদ্রির ক্রস থেকে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে।

এই জয়ের মাধ্যমে বার্সেলোনা গ্রুপে ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে, যেখানে অলিম্পিয়াকোস এখনও জয় থেকে বঞ্চিত। আগামী ম্যাচগুলোতে দুই দলের পারফরম্যান্স কেমন হয় তা নিয়েও ফুটবল প্রেমীদের দৃষ্টি থাকবে।

খেলাধূলা শীর্ষ সংবাদ