সরকার মিরসরাই-২ এ এবং ২বি ইকোনমিক জোন (ইজেড), চট্টগ্রামের প্যাকেজ নং ৩ এর জন্য অ্যাক্সেস রোড নির্মাণ কাজের জন্য ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬২২ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’ের আওতায় মিরসরাই ইজেডের অ্যাক্সেস রোড নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি মিরসরাই-২ এ এবং ২বি ইজেড এলাকায় অ্যাক্সেস রোড নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়িত হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন যা চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইকোনমিক জোনগুলোর সঙ্গে যুক্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, যা বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করবে।
প্রকল্পটির জন্য দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনিকো লিমিটেডকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এটি একটি ঢাকার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যাদের কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। ‘বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ) (বিশেষ সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫টি নতুন ৩৩/১১ কেডি ১০১০/১৪ এমভিএ জিআইএস টাইপ বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পটি খুলনা বিভাগের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে, যার ফলে এলাকার উন্নয়ন এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
এই সব প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কার্যক্রমকে আরও বেশি কার্যকরী ও উৎপাদনশীল করে তোলা। বিশেষভাবে মিরসরাই ইজেডের অ্যাক্সেস রোড নির্মাণ দেশের শিল্প খাত এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা দেশের উন্নয়নকে আরও দ্রুততর করবে।
প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেশের অবকাঠামোগত খাতে সরকারী উদ্যোগের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সুষম অবকাঠামোগত বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।