মঙ্গলবার এবং বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় ম্যাচ ডেতে গোলের বন্যা বয়ে গেছে। দুটি দিনে মোট ১৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ৭১টি গোল হয়েছে। লিভারপুল, চেলসি, এবং বায়ার্ন মিউনিখ বড় জয় পেয়েছে।
লিভারপুল ৫ : ১ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট
লিভারপুলের জন্য ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠ ছিল এক দারুণ পারফরম্যান্স প্রদর্শনের জায়গা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়লেও, দলের আক্রমণাত্মক খেলা তাদের একে একে ৫টি গোল এনে দেয়। ১৭টি শটের মধ্যে ১৪টি লক্ষ্যে ছিল, এবং বলের পজেশন ছিল ৬৪ শতাংশ।
-
ফ্রাঙ্কফুর্টের মারিও গোৎজোর পাস থেকে গোলের মাধ্যমে ১-০ তে এগিয়ে যায়।
-
কিন্তু লিভারপুল তাড়াতাড়ি সমতায় ফিরিয়ে আনেন হুগো একিতি, ৯ মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করেন।
-
এরপর বিরতির আগে দুইটি হেড গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে দেয় ভার্জিল ফন ডাইক ও ইব্রাহিমা কোনাতে।
-
দ্বিতীয়ার্ধে কোডি গাকপো এবং ডোমিনিক সোবোজলাই আরও দুইটি গোল যোগ করে লিভারপুলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
লিভারপুল ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১০ নম্বরে অবস্থান করছে।
চেলসি ৫ : ১ আয়াক্স
স্টাম্পফোর্ড ব্রিজে আয়াক্সের বিরুদ্ধে চেলসি ছিল একেবারে অনুশীলিত। ১৭ মিনিটে আয়াক্সের ডিফেন্ডার কেনেথ টেলর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, এবং ১০ জনের আয়াক্সকে একের পর এক গোলের সামনে ফেলে দেয় চেলসি।
-
প্রথম গোলটি করেন মার্ক গিউ ১৮ মিনিটে।
-
২৭ মিনিটে ময়েসেস কায়সেদো দ্বিতীয় গোল করেন।
-
৩৩ মিনিটে ভাউট ভেগহোস্টের গোলের মাধ্যমে আয়াক্স ব্যবধান কিছুটা কমালেও, চেলসি দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৩ গোল করে।
-
এনজো ফার্নান্দেজ ও এস্তেভাও উইলিয়ান দুটি পেনাল্টি গোল করেন, এবং পরে তাইরিক জর্জ চেলসির পঞ্চম গোলটি করেন।
এই জয়ের সাথে চেলসি ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠে এসেছে।
বায়ার্ন মিউনিখ ৪ : ০ ক্লাব ব্রুগ
বায়ার্ন মিউনিখ তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপরাজিত ধারা অব্যাহত রেখেছে। ব্রুগের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
-
প্রথমার্ধে ৩ গোল দিয়ে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। লেনার্ট কার্ল, হ্যারি কেইন, এবং লুইস দিয়াজের গোলগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
৭৯ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের গোলটি ৪-০ ব্যবধানে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করে।
বায়ার্ন ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, সমান পয়েন্ট নিয়ে সামনে রয়েছে পিএসজি।
এই ম্যাচ ডে’তে বেশ কয়েকটি ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখানো হয়েছে। যেখানে, লিভারপুল, চেলসি ও বায়ার্নের পারফরম্যান্স সত্যিই চোখে পড়ার মতো ছিল। তবে, অন্যান্য ম্যাচগুলোও তেমনই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, যেখানে দর্শকরা পেয়েছেন রীতিমতো গোলের উৎসব।
আগামী ম্যাচগুলোতে আরও চমকপ্রদ ফুটবল দেখার আশা রয়েছে, যেখানে এই তিনটি ক্লাব শিরোপার দৌড়ে নিজেদের শক্তি আরও বেশি প্রমাণ করতে চাইবে।