বিমানবন্দরে আগুনের তদন্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, এক সপ্তাহের মধ্যে সুরক্ষা প্রস্তুতি পর্যালোচনা

বিমানবন্দরে আগুনের তদন্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, এক সপ্তাহের মধ্যে সুরক্ষা প্রস্তুতি পর্যালোচনা

প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম বলেছেন, বিমানবন্দরে গত সপ্তাহে ঘটিত অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের সাহায্যে একটি ফরেনসিক তদন্ত পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্য আগুনের সঠিক কারণ এবং এটির বিস্তার রোধের পদ্ধতি চিহ্নিত করা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে এই তদন্ত চালানোর জন্য আলোচনা করেছি এবং প্রত্যেকটি পক্ষের সহযোগিতা আশা করছি।”

তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কারণ খুঁজে বের করা সরকারের জন্য অগ্রাধিকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে অগ্নি সুরক্ষা প্রস্তুতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সপ্তাহে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে এবং নিশ্চিত করবে যে, আগুনের ঝুঁকি রোধে কোনো ঘাটতি নেই।”

তিনি আরও জানান, সরকারের উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অগ্নি সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।

ব্রিফিংয়ে, শফিকুল আলম নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বডিক্যাম, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ড্রোন ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আইনগত দিকগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে, এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু হবে।”

এছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডিক্যাম ব্যবহারের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম বা কারচুপি না হয়। ড্রোন ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে শফিকুল আলম আরও বলেন, “এখনই কোনো একক সমাধান বা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়, তবে সরকারের মূল উদ্দেশ্য হল জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করা। প্রযুক্তির সহায়তায় ভোটের সুষ্ঠুতা বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।”

প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম আরও জানান, অগ্নি সুরক্ষা ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বিমানবন্দরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন, যাতে আগুনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়। পাশাপাশি, প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সুরক্ষা নিশ্চিত করা ভবিষ্যতে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এখনও পর্যন্ত, অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা গ্রহণের ফলে এ বিষয়ে একটি সম্যক ও সুসংগত তদন্ত আশা করা হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাবে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ