ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বেড়েছে, তবে লেনদেন কমেছে ১৮%

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বেড়েছে, তবে লেনদেন কমেছে ১৮%

বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত সপ্তাহে (১৯-২৩ অক্টোবর) সবগুলো সূচকের উত্থান দেখেছে, তবে অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এ ছাড়া এক্সচেঞ্জটির গড় লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশেরও বেশি। এসব পরিসংখ্যানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩০.৪৭ পয়েন্ট বা ৯.৬০ শতাংশ, যা প্রমাণিত হয় সূচকের ইতিবাচক গতির। অন্যান্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,০৮৯ পয়েন্টে পৌঁছেছে। একই সময়ে ডিএসইএস সূচক ২.২৬ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ বেড়ে ১,৯৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এই সূচকগুলোর উত্থান সত্ত্বেও, বাজারে কিছু নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। গত সপ্তাহে ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৭টির দাম বেড়েছে, ২০৩টির দাম কমেছে এবং ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এই পরিসংখ্যানের মধ্যেও, লেনদেনের পরিমাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পতন লক্ষ্য করা গেছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৪৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা কম। এর ফলে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ৪২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা।

ডিএসইর বাজার মূলধন গত সপ্তাহে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এও সূচকের গতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স সূচক যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১৪৪১৩.৩৯ পয়েন্ট ও ৮৮৮২.৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সিএসআই সূচক শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে ৯০৭.৮১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ০.১৪ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে যথাক্রমে ১১০৪.৮৮ পয়েন্ট ও ১২৭২৭.৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা কমেছে। সিএসইতে ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসই এবং সিএসই উভয় পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হলেও, লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য কমতির দিক রয়েছে। বিশেষ করে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গড় লেনদেন কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক শেয়ারের দাম কমেছে। তবে বাজার মূলধনের বৃদ্ধির পেছনে যে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে, তা স্পষ্ট। বাজারের সঠিক অবস্থান এবং এর ভবিষ্যৎ প্রবণতা নির্ধারণে পরবর্তী সপ্তাহগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ