ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভোটের আয়োজনের দাবিতে স্মারকলিপি জমা

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভোটের আয়োজনের দাবিতে স্মারকলিপি জমা

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর, পূর্বনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ নভেম্বর ভোট আয়োজনের দাবিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২০ জন প্রার্থী শ্রম অধিদপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর জমা দেওয়া এই স্মারকলিপিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, এবং কোনো ধরনের অযাচিত স্থগিতাদেশ না দিয়ে নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা উচিত।

স্মারকলিপিতে প্রার্থীরা উল্লেখ করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-১৩ এর ৬ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে যে, নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিটি নিতে পারে না। নির্বাচন স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে নির্বাহী পরিষদের। তবে, নির্বাচন কমিটির প্রধান বা কোনো সদস্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৮৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এবং নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত না নিয়ে ভোট স্থগিতের ঘোষণা দেন, যা সংগঠনের বিধি-বিরোধী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রার্থীদের নাম এবং পদ

স্মারকলিপিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২০ জন প্রার্থীর নাম এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপদও উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন:

  • সাধারণ সম্পাদক পদ: দিদারুল আলম
  • সহ-সভাপতি পদ: রফিক মুহাম্মদ
  • যুগ্ম সম্পাদক পদ: খন্দকার আলমগীর হোসাইন ও ফারুক আহমেদ সুজন
  • সাংগঠনিক সম্পাদক পদ: ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ও ডিএম আমিরুল ইসলাম
  • দপ্তর সম্পাদক পদ: আব্দুল্লাহ মজুমদার
  • জনকল্যাণ সম্পাদক পদ: ইসরাফিল ফরাজী
  • প্রচার সম্পাদক পদ: মো. শিমুল হাসান
  • নিবার্হী সদস্য পদ: কেফায়েত শাকিল, মো. বাকি বিল্লাহ, ফখরুল ইসলাম, মো. জহির আলম সিকদার, মো. ইসমাইল হোসেন বাবু, মো. মজিবুর রহমান সরকার, জাহিদুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের মোট ২,২৭০ জন সদস্য রয়েছেন, যারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রার্থীরা দাবি করেছেন, সদস্যদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি। তফসিল অনুযায়ী ভোট আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মন্তব্য না করলেও, নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনে প্রার্থীদের এই স্মারকলিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং আইনগত দিক থেকে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর থেকে ডিইউজে’র বিভিন্ন শাখায় এই নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে, সংঘর্ষ কিংবা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনের উপর দৃষ্টি রেখেছে সংগঠনের সদস্যরা এবং তারা আগ্রহী যে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে ও নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হোক। আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়ে আরও আলোচনা ও সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হতে পারে, যা ডিইউজে’র ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

জাতীয়