রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার পর এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে আজ (রোববার) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেল ৩টায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সেবা পুনরায় চালু করার জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক যুবক নিহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম, তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নরিয়ায়। ওই সময় তিনি রাস্তার পাশে হাঁটছিলেন এবং পিলারের নিচে পড়ে যান। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) দুর্ঘটনার পর দ্রুত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ডিএমটিসিএল তাদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে জানায় যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর পর বিকেল ৩টায় ডিএমটিসিএল এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সেবা চালু করার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে এবং যাত্রীদের ধৈর্য ধারণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করতে কাজ করছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের পর মেট্রোরেল যাত্রীরা আবার স্বাভাবিক সেবা পেয়েছেন, তবে কিছুক্ষণ পরিমাণ সময় পর্যন্ত পুরো সেবা পুরোপুরি চালু হয়নি।
এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথাযথ পর্যালোচনার দাবি উঠেছে। দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে, যেখানে সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এছাড়া, দুর্ঘটনার পর সঠিক তদন্ত ও এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে, এবং ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এটি নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে।


