খুলনার বিপক্ষে বরিশালের বিপর্যয়: স্পিন জাদুতে দাপুটে জয় পেল খুলনা

খুলনার বিপক্ষে বরিশালের বিপর্যয়: স্পিন জাদুতে দাপুটে জয় পেল খুলনা

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে বরিশালকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দাপুটে জয় লাভ করেছে খুলনা। চার দিনের এই ম্যাচে মাত্র আড়াই দিনে জয় নিশ্চিত করে তারা। বিশেষ করে স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুবর দুর্দান্ত বোলিংয়ে দুটি ইনিংসে ৮ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হন।

খুলনা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩১৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। যদিও তারা ১৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল, তারপরও জিয়াউর রহমান এবং শেখ পারভেজ রহমান জীবনের দৃঢ়তায় দলকে ৩০০ রান পার করায়। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিয়া ৯১ বল খেলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন। অন্যদিকে, জীবন ৯৮ বলে ৭৩ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার ও ছক্কা।

এছাড়া, উইকেটরক্ষক ইমরানউজ্জামান ৭৮ বল খেলে ৪৩ রান, সৌম্য সরকার ৬২ বলে ৩৭ রান এবং এনামুল হক ৪৪ বলে ৩০ রান করেন। বরিশালের হয়ে রুয়েল মিয়া এবং মঈন খান ৩টি করে উইকেট নেন।

খুলনার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। আফিফ হোসেন ধ্রুবর স্পিন ঘূর্ণিতে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা কার্যত অসহায় হয়ে পড়েন। খুলনার স্পিনার আফিফ ১০ ওভার ৫ বল করে ৩১ রান খরচে ৬ উইকেট তুলে নেন। বরিশাল ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়।

বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩৯ ওভার দুই বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে। তৃতীয় দিনে তারা ১০৫ রান যোগ করেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শামসুর রহমান শুভ, এবং ইফতেখার হোসেন ইফতির ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ রান করতে সক্ষম হলেও, বরিশাল তাদের বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের সংগ্রহ ছিল মোট ৩৫০ রান, যার পেছনে খুলনা ৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। তবে, খুলনা এই সহজ লক্ষ্য তাড়াতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়েও জয় নিশ্চিত করে।

এ ম্যাচে এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, এবং ইমরানউজ্জামান ফিরে যান দ্রুত, তবে অমিত মজুমদার ২২ রান এবং ইয়াসিন মজুমদার ৪ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচটি শেষ করেন। ১০ দশমিক ৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খুলনা জয়ী হয়।

এ জয়ের মাধ্যমে খুলনা প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে। তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ এখন তাকিয়ে থাকবে খুলনার বোলিং এবং ব্যাটিং শক্তির উপর, যেটি তারা এ ম্যাচে বিশালভাবে প্রমাণ করেছে। বরিশাল, তবে, এই পরাজয়ের পর নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে পরবর্তী ম্যাচে শক্তিশালীভাবে ফিরতে চায়।

এ ধরণের ধারাবাহিক জয়ের মাধ্যমে খুলনা জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুমে শিরোপা দৌড়ে প্রবেশ করবে বলে আশাবাদী।

খেলাধূলা