নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য শাপলা প্রতীক পরিবর্তন করে নতুন একটি প্রতীক বরাদ্দের জন্য এই সপ্তাহেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আজ (সোমবার) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে সচিব এই তথ্য জানান।
সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট। প্রতীক বরাদ্দের সময় নিবন্ধনযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রতীকের গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।” তিনি আরও জানান, শাপলা প্রতীক নিয়ে ইতোমধ্যেই কমিশনের অবস্থান জানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প প্রস্তাব কমিশনের কাছে আসেনি। তাই, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সপ্তাহেই নতুন প্রতীক জারি করা হবে।
এদিকে, গণভোট সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনে এখনো পর্যন্ত কোনো গণভোট সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক তথ্য আসেনি। এই বিষয়ে কোনো অনুমানভিত্তিক মন্তব্য করা উচিত নয়, কারণ কমিশনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।”
শনিবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। কমিশন এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজেই সহযোগিতা করছে।”
নির্বাচন প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “আমরা এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুত। যদি রাজনৈতিক দল এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হয়, তাহলে পুরো প্রস্তুতি শতভাগে পৌঁছাবে।”
এছাড়া, পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে সচিব বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না, কারণ এটি কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে আমরা কাজ করছি। সব পক্ষ যদি সহযোগিতা করে, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।”
নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করার পর নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কমিশনের অবস্থান, প্রতীক বরাদ্দ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সিদ্ধান্ত দেশের নির্বাচনী পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিতে পারে।


