ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীতে চলমান ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম পরিচয় জানানো হয়নি, তবে ডিবি জানায়, তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এই অভিযানটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।
এদিকে, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে ঢাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে সরকারবিরোধী মিছিল ও আন্দোলনগুলো যাতে সহিংসতায় না রূপান্তরিত হয়, সেজন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এই গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা সম্ভবত আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনগুলোর অধীনে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন, যারা গত কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল এবং আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এসব মিছিলকে সহিংস ও জনস্বার্থবিরোধী হিসেবে দেখছে সরকার। এর মধ্যে এমন কিছু মিছিল ছিল যা সহিংসতায় রূপ নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।
রাজধানীতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ঝটিকা মিছিলের ঘটনাগুলো সম্প্রতি বড় আকারে নজরে এসেছে। এসব মিছিলের মাধ্যমে সরকারবিরোধী পক্ষ নানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে, পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব কর্মকাণ্ডে গতি ও সময়ের ওপর নির্ভর করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠতে পারে, যা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, ডিবি পুলিশ এ ঘটনার পর জানিয়েছে, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং যাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভিত্তিতে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, এবং আরও নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন মোড় নিতে পারে, যেখানে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। জনগণের শান্তিপূর্ণ অধিকার রক্ষায় এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।


