বাংলাদেশ সফররত জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জোহান সাথফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকায় অবস্থানরত ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জোহান সাথফ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এ সফরের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় জার্মান দূতাবাসে এক আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন ঢাকাস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটস ও তাঁর সহধর্মিণী ইভানা লটস। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে অধ্যাপক পরওয়ার জার্মান সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি জোহান সাথফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জার্মান সরকারের দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং দেশটির জনগণের কল্যাণ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়।
অন্যদিকে, জার্মান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা কার্যক্রমের অগ্রগতি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বাংলাদেশে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজ জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মূলত উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক হলেও, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে সংলাপের পরিধি ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। এমন সফর ও বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সাক্ষাৎ শেষে উভয় পক্ষ ভবিষ্যত সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।


