লেনদেন বেড়েছে, কিন্তু সূচক নিম্নমুখী ঢাকার শেয়ারবাজারে

লেনদেন বেড়েছে, কিন্তু সূচক নিম্নমুখী ঢাকার শেয়ারবাজারে

অর্থনীতি ডেস্ক | ঢাকা | মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয় দিকেই মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে, তবে প্রধান সূচক ডিএসইএক্সসহ দুটি সূচকই সামান্য হ্রাস পেয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজ মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫১ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা, যা গতকাল সোমবারের ৩৯৪ দশমিক ১৮ কোটি টাকার তুলনায় প্রায় ৫৭ কোটি টাকার বেশি। তবে লেনদেন বৃদ্ধি পেলেও সূচক ছিল নিম্নমুখী প্রবণতায়।

লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৪ দশমিক ১২ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ কম
অন্যদিকে ডিএসইএস সূচক নেমে এসেছে ১ হাজার ৭১ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, যা ১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে।
শীর্ষ ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচকও সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ হ্রাস

দিন শেষে ডিএসইতে ১৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৯৯টি কমেছে, এবং ৬৬টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত ছিল।

মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করেছে সিএপিএম বিডিবিএলএমএফ, যার ইউনিটের দাম আগের দিনের ৯ দশমিক ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৩০ টাকায় উন্নীত হয়েছে—বৃদ্ধি ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিপিপিএল, যার শেয়ারের দাম ১১ দশমিক ৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩ টাকায় উঠেছে, বৃদ্ধি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ
তৃতীয় স্থানে আছে সায়হাম কটনস, যার দাম ১৬ দশমিক ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৪০ টাকা, অর্থাৎ ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চতুর্থ স্থানে থাকা এসপিসিএল শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ—৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ দশমিক ৯ টাকায় পৌঁছেছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা আইসিবি এএমসিএল-এর শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৭ টাকা থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ১০ টাকায় উন্নীত হয়েছে, বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ০১ শতাংশ

বাজার বিশ্লেষণ

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, ডিএসইতে আজ লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফা গ্রহণ ও স্বল্পমেয়াদি বিক্রয়চাপ সূচকে সামান্য পতন ঘটিয়েছে।
এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, উচ্চ সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনো স্থিতিশীল দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।

তবে বাজারে কিছু মধ্যম ও ক্ষুদ্র মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ায় লেনদেনের গতি তুলনামূলকভাবে সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এবং প্রণোদনামূলক নীতিগত সহায়তা পেলে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে পারে।

অর্থ বাণিজ্য