আবুল খায়ের স্টিলের নতুন রোলিং মিল: বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পে বিশ্বমানের অগ্রগতি

আবুল খায়ের স্টিলের নতুন রোলিং মিল: বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পে বিশ্বমানের অগ্রগতি

অর্থনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে আবুল খায়ের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেড। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছে বিশ্বের দ্রুততম রিবার (লোহার রড) রোলিং মিল, যা দেশের নির্মাণ খাতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আবুল খায়ের স্টিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এসএমএস গ্রুপ সম্পূর্ণভাবে মিলটি স্থাপন করেছে। নতুন রোলিং মিলটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৬ লাখ টন ডিফর্মড বার। মিলটি রিবার উৎপাদনে ৫৫.০৪ মিটার প্রতি সেকেন্ডের গতি বজায় রাখতে সক্ষম, যা নতুন বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেছে।

মিলের আধুনিক রোলিং প্রযুক্তি এবং স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ৮ মিলিমিটার থেকে ৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন মাপের রিবার উৎপাদন সম্ভব। নতুন প্লান্টটি উচ্চ মানের ইস্পাত উৎপাদনের সঙ্গে সাথে দেশীয় বাজারে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

আবুল খায়ের স্টিলের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও লিগ্যাল বিভাগের প্রধান মো. শেখ শাবাব আহমেদ বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটি শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, টেকসই উন্নয়নের প্রতিফলনও বটে। নতুন মিলের মাধ্যমে ৫০০ মেগাপাস্কাল বা তার বেশি শক্তিসম্পন্ন উচ্চমানের ইস্পাত উৎপাদন করা সম্ভব, যা ভূমিকম্প-সহনশীল ও টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

প্রকল্পের ফলে তিন হাজারের বেশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয় মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি এটি দেশের অবকাঠামো, নগর উন্নয়ন ও শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এসএমএস গ্রুপের এপ্যাক ও মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকা অঞ্চলের চিফ সেলস অফিসার বার্নহার্ড স্টিনকেন বলেন, এই প্রকল্প গতি, দক্ষতা ও টেকসইতার এক নিদর্শন। রেকর্ড গতিতে এবং নির্ভরযোগ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আবুল খায়ের স্টিল দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে।

আবুল খায়ের স্টিলের নতুন রোলিং মিলটি দেশের নির্মাণ ইস্পাত বাজারে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। উচ্চমানের ইস্পাত উৎপাদন ও আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণে বাংলাদেশী ইস্পাত শিল্প আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অবকাঠামো খাতের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

অর্থ বাণিজ্য