গৌরী খানের রেস্তোরাঁ ‘তরী’ নিয়ে আলোচনা, খাবারের দাম এবং বিতর্ক

গৌরী খানের রেস্তোরাঁ ‘তরী’ নিয়ে আলোচনা, খাবারের দাম এবং বিতর্ক

বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড তারকা শাহরুখ খানের স্ত্রী ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গৌরী খানের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ‘তরী’ বর্তমানে মুম্বাইয়ে আলোচনায়। তবে, এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে খাবারের দাম। সম্প্রতি প্রকাশিত মেনু ও মূল্যতালিকা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

গৌরী খানের এই রেস্তোরাঁয় নানা আন্তর্জাতিক মানের খাবার পাওয়া যায়, যার মধ্যে ডাম্পলিং, স্যালাড, সামুদ্রিক খাবার এবং জাপানি পদগুলি অন্তর্ভুক্ত। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে মেনুর দাম। ‘তরী’-তে একটি প্লেট ‘তরী ভেজ গিয়োজা’ (ভেজ ডাম্পলিং) এর দাম প্রায় ১,৫০০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,২০০ টাকা)।

এছাড়া, রেস্তোরাঁটির কিছু জনপ্রিয় আইটেমের মধ্যে রয়েছে ‘সামার ভেজিটেবল সুই’ এবং ‘ট্রাফল এডামামে’, যেগুলোর দাম ৯৫০ রুপি করে। স্যালাডের দামও যথেষ্ট উচ্চ, যার মধ্যে ‘সাশিমি স্যালাড’ (স্যামন ও টুনা মাছ দিয়ে তৈরি) এর দাম প্রায় ১,১০০ রুপি।

এর পাশাপাশি, জাপানি খাবারের মধ্যে ‘এনোকি মাশরুম টেম্পুরা’ ৬০০ রুপি এবং ‘চিকেন ইয়াকিতোরি’ ৮০০ রুপি দাম রয়েছে। মেনুর সবচেয়ে দামি দুটি খাবার হচ্ছে ভেড়ার মাংসের পদ, যার দাম যথাক্রমে ৩,৮০০ রুপি ও ৪,৭০০ রুপি। নরওয়ের পদ্ধতিতে রান্না করা স্যামন মাছের দাম ১,৯০০ রুপি, এবং চিংড়ির এক পদ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ রুপি দামে।

কিন্তু এই বিলাসবহুল রেস্তোরাঁটি একাধিক বিতর্কের মধ্যেও পড়েছে। গত কিছুদিন আগে একটি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার অভিযোগ তুলেছিলেন যে, ‘তরী’ রেস্তোরাঁতে নকল পনির ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও গৌরী খান বা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই অভিযোগে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, রেস্তোরাঁর খাবারের দাম এবং বিতর্ক সম্পর্কে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের মন্তব্য ও আলোচনা চলছে। কিছু নেটিজেনরা খাবারের দামকে অতিরিক্ত বলে মনে করছেন, তবে আবার অনেকেই গৌরী খানের রেস্তোরাঁকে একটি বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছেন।

মুম্বাইয়ের এই রেস্তোরাঁটি খোলার পর থেকেই নিজের স্টাইল এবং ফাইন ডাইনিংয়ের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে। তবে, রেস্তোরাঁর দাম এবং বিভিন্ন বিতর্কের কারণে এটি নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

বিনোদন