০ কার্যদিবস পর ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা অতিক্রম

০ কার্যদিবস পর ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা অতিক্রম

অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৯ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় দিনশেষ করেছে বাজার। ১০ কার্যদিবস পর এক্সচেঞ্জটির সার্বিক লেনদেনের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ১৫৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৬টির। দর বৃদ্ধি পাওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯৭টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪৯টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪৬টি শেয়ার ও ইউনিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মূল্যসূচকের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯২ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। মঙ্গলবার সূচকটি অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৮৪ পয়েন্টে। একই দিনে শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৫ পয়েন্টে এবং নির্বাচিত ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

লেনদেনের দিক থেকে দিনটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম সক্রিয় ছিল। এদিন ডিএসইতে মোট ৫০৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫২ কোটি ২৭ লাখ টাকা বেশি। গত ১৪ অক্টোবরের পর এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৬০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এরপর টানা ১০ কার্যদিবস লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গিয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা কিছুটা কাটিয়ে উঠছে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ায় বাজারে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অন্যদিকে, দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একইদিন সব সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কমেছে।

সিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৮০৭ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।

এক্সচেঞ্জটিতে মোট ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির। সার্বিকভাবে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগ এবং বাজারে ধীরে ধীরে তারল্য বৃদ্ধিই সূচক বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ। তবে তারা মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো ও মৌলভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখা জরুরি।

অর্থ বাণিজ্য