জাতীয় ডেস্ক:
কসোভো প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের স্থানীয় একটি এনজিওর সাথে সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে সহায়তা সম্প্রসারণ করা হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী কসোভো ৫ হাজার ইউরো আর্থিক সহায়তা দেবে, যা স্থানীয় কমিউনিটি লার্নিং সেন্টারগুলোতে শিক্ষা সামগ্রী সরবরাহে ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশে কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশিও-ইকোনমিক অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ (এএসইএবি)-এর নির্বাহী পরিচালক মাহফুজা খানম বুধবার (২৯ অক্টোবর) এই সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
এমওসি চুক্তি অনুসারে, কসোভো ৫ হাজার ইউরো আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে, যা কক্সবাজারের কমিউনিটি লার্নিং সেন্টারগুলোতে স্কুল বেঞ্চ, ব্যাগ, এবং পানির পাত্র সরবরাহে ব্যবহৃত হবে। এই সহায়তার মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের শেখার পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব হবে এবং তাদের শিক্ষার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত প্লানা এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “রোহিঙ্গা জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কসোভো সংহতি প্রকাশ করছে। শিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি একটি আশার সেতুবন্ধন এবং সহনশীলতার পথ, বিশেষ করে তাদের জন্য যাদের জীবন সংঘাতের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, কসোভো রোহিঙ্গা সংকটের মানবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান কসোভোর সহায়তার প্রশংসা করে বলেন, “কসোভোর উদার সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য গভীর মানবিক সংকটের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার প্রকাশ।”
এই উদ্যোগটি কসোভো ও বাংলাদেশের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।
এছাড়া, কসোভো সরকার রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করে।
এটি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিয়ত সহযোগিতার একটি অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।


