জাতীয় ডেস্ক:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ৩০ অক্টোবরের পর থেকে কোনো এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিটিআরসি জানিয়েছে, সঠিক মালিকানা নিশ্চিতকরণ এবং সিম নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি এর আগে জানিয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের পর কোনো গ্রাহকের এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম থাকলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো অবৈধ সিম ব্যবহার, প্রতারণা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা। কমিশন বলছে, গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাদের সিম নিবন্ধন বাতিল অথবা মালিকানা পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে। সঠিক সিম মালিকানা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে, কমিশন সিম নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকরী ও নিরাপদ করতে চায়।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, তবে প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে, ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ গ্রাহকের নামে, এবং ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক।
গ্রাহকরা সহজেই তাদের এনআইডির সাথে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এজন্য তাদের মোবাইল ফোন থেকে *16001# ডায়াল করে এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা পাঠালে সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।
এছাড়া, গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো ডি-রেজিস্টার বা মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, বিটিআরসি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সিম নিবন্ধন ব্যবস্থা আরো নিরাপদ ও কার্যকর হবে বলে আশা করছে বিটিআরসি।


