জাতীয় ডেস্ক
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। তথ্যটি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়া অংশে ২১৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ জন রোগী অন্তর্ভুক্ত।
একই সময়ে ৫৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ হাজার ৮০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট ৬৯ হাজার ৮৬২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৮ জনে।
তুলনা করলে দেখা যায়, ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মোট ৫৭৫ জন মারা যান। ২০২৩ সালে একই সময়কালে মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১ হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি প্রচেষ্টা, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর পরিচ্ছন্নতা, বুড়ো ও শিশুদের উপর নজরদারি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষ করে নগর এলাকাগুলোতে পানি জমার স্থান ও মশার প্রজনন কেন্দ্র পরিস্কার রাখার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা এখনও সর্বোচ্চ, যা নগর এলাকায় মশার প্রজনন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে হওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা এবং রোগীর সঠিক পর্যবেক্ষণ ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে। এ তথ্য রোগীর চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নীতি প্রণয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।


