গ্রিসে শরণার্থী নীতি কঠোর: দেশে ভ্রমণ করলে আশ্রয় বাতিল, সামাজিক সুবিধাও কমছে

গ্রিসে শরণার্থী নীতি কঠোর: দেশে ভ্রমণ করলে আশ্রয় বাতিল, সামাজিক সুবিধাও কমছে

অনলাইন ডেস্কঃ

গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, শরণার্থী স্বীকৃতি পাওয়া কোনো ব্যক্তি যদি নিজ দেশে ভ্রমণ করেন, তাহলে তার আশ্রয় মর্যাদা স্থগিত বা বাতিল করা হবে। মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গ্রিসের সংবাদপত্র কাথিমেরিনি এই তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো দেশ থেকে নিপীড়ন বা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা ব্যক্তি যদি গ্রিসে আশ্রয় পান এবং পরে নিজ দেশ সফর করেন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি আর ঝুঁকির মধ্যে নেই। এতে শরণার্থীর আশ্রয় মর্যাদা বাতিল বা স্থগিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এ ধরনের নীতি ইতোমধ্যেই সুইজারল্যান্ডেও প্রণীত হয়েছে। সেখানে শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে বা নিজ দেশে ভ্রমণ কেবল জরুরি পরিস্থিতিতে (যেমন আত্মীয়স্বজনের মৃত্যু) বিশেষ অনুমতিতে সম্ভব।

সামাজিক সুবিধা ও আবাসন ভর্তুকি কমানো

গ্রিস সরকার স্বীকৃত শরণার্থীদের সামাজিক সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় সুবিধার বরাদ্দ প্রায় ৩০% কমিয়ে আনা হচ্ছে, বার্ষিক খরচ ৪০০ মিলিয়ন ইউরো থেকে কমে ২৮৮ মিলিয়ন ইউরো।

এর ফলে হেলিওস আবাসন কর্মসূচির আওতায় শরণার্থীদের ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন নীতিতে আশ্রয়প্রার্থীরা আর ইউরোপীয় ও গ্রিক করদাতাদের ভর্তুকির ওপর নির্ভর করতে পারবেন না; বরং তাদের কাজের সুযোগ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া:

  • এথেন্সের কেন্দ্রীয় এলাকায় শরণার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসন সুবিধা সরিয়ে দেওয়া হবে।
  • আর্থিক সহায়তা ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্য সীমিত রাখা হবে।
  • আগে যে অর্থ ভাড়ার সহায়তা হিসেবে দেওয়া হতো, তা এখন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও গ্রিক ভাষা শেখার কোর্সে ব্যয় করা হবে।

মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস বলেন, “ভবিষ্যতে শরণার্থীদের সহায়তা শুধু অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন মেটানোর জন্যই সীমিত থাকবে।”

সংক্ষেপে, গ্রিস শরণার্থী নীতি কঠোর করছে: দেশে ভ্রমণ করলে আশ্রয় বাতিল, সামাজিক সুবিধা ও ভর্তুকি কমানো হচ্ছে, এবং মূল ফোকাস এখন কাজ ও অন্তর্ভুক্তি

আন্তর্জাতিক