জামায়াত বলেছে আরপিও সংশোধন সরকারের পক্ষ থেকে অন্যায় আনুগত্যের প্রকাশ

জামায়াত বলেছে আরপিও সংশোধন সরকারের পক্ষ থেকে অন্যায় আনুগত্যের প্রকাশ

রাজনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত আরপিওকে পুনরায় সংশোধন করা একটি দলের অন্যায় ও অযৌক্তিক আবদারের প্রতি সরকারের নতিস্বীকারের সমতুল্য। তিনি শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি অসম ও অবৈধ চুক্তি সম্পাদন করেছেন, এরপর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে একটি দলের চাপে এবং সর্বশেষ উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত আরপিও পুনর্বিবেচনার নামে সরকার যে আনুগত্য প্রদর্শন করেছে, তা সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না এবং নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ইতোপূর্বে নির্বাচন কমিশন এবং উপদেষ্টা পরিষদে প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত এবং জাতিও একমত। আমরা গত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাই। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ করা হবে।”

ডা. তাহের বলেন, বিএনপি সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছে, কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উত্তাপ তৈরি হওয়ায় ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।

তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, “কোনো অশুভ চক্রের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সংস্কার-রিফর্ম উনারই নিজস্ব উদ্যোগ। সেটি নিজের হাতে ধ্বংস করলে জাতি তা বিশ্বাস করবে না।” তিনি আরও বলেন, যদি প্রধান উপদেষ্টা নতি স্বীকার করেন, তাহলে জাতি মনে করবে তিনি তার ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। তাই তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা যথাযথ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সংস্কার বাস্তবায়নে দৃঢ় ভূমিকা পালন করবেন।

জামায়াতের নায়েবে আমিরের এই বক্তব্য দেশে চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলটির অবস্থানকে প্রতিফলিত করছে। তিনি সরকারের প্রতি সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন যে, রাজনৈতিক পক্ষপাত বা নির্দিষ্ট দলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন দেশের নির্বাচনী পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাজনীতি