বিনোদন ডেস্ক
বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ‘মৃগয়া’ থেকে শুরু করে হাল আমলের ‘কাবুলিওয়ালা’ পর্যন্ত তার অভিনয় দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কোনো প্রশ্ন নেই। তবে তাকে ঘিরে প্রশ্ন থাকে—তিনি কি খুব রাগী, এবং তার সঙ্গে কাজ করতে গেলে কি পরিচালকদের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়?
সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর দেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ২০২৪ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘সন্তান’ ছবিতে কাজ করেন রাজ। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, শুভশ্রী এবং ঋত্বিক অভিনয় করেছেন। ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ জানান, বড় একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে গেলে কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়। তিনি বলেন, “আপনি যদি ফ্লোরে নিজেই বিভ্রান্ত থাকেন, উনি তা বুঝে ফেলবেন। তিনি প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী।”
মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করতে গিয়ে রাজ আরও বলেন, মিঠুন ‘ওয়ান টেক অ্যাক্টর’। অর্থাৎ, তিনি সাধারণত একবার শুটের পরই টেক দেয়েন। যদি পরিচালক বা সহকর্মী টেক পুনরায় নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন, তবে তার কারণ স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়। রাজের কথায়, “যদি যথাযথভাবে বোঝানো না হয়, তবে উনি পুনরায় টেক দেবেন না।”
মিঠুনের নৈতিক ও পেশাদার আচরণের উল্লেখ করে রাজ বলেন, “উনি কখনো রেগে যাননি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেছেন। কাজ শেষ হলেও বাড়ি চলে যাননি; ফ্লোরে থাকতেন এবং অন্য অভিনেতারা যখন অভিনয় করতেন, তিনি একই আবেগ দিয়ে পাশে দাঁড়াতেন। এই মানুষটাকে মুডি বলা যায় না।”
রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে মিঠুন চক্রবর্তী শুধু একজন দক্ষ অভিনেতা নন, বরং চলচ্চিত্র সেটে তার পেশাদারিত্ব ও সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব তাকে আরও প্রিয় ও সম্মানিত করে তুলেছে।


