সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদের সদস্যদের সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির সঙ্গে জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদের সদস্যদের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সালেহ আল-ফাওযানের সঙ্গে পরিষদের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানী রিয়াদে নিজের কার্যালয়ে ওলামা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে পরিষদের সদস্যরা শেখ আল-ফাওযানকে সম্প্রতি জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইসলামি গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক সাধারণ সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় অভিনন্দন জানান। তারা ইসলামি জ্ঞান প্রচার, ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং সমাজে ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার দীর্ঘদিনের অবদান ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

শেখ সালেহ আল-ফাওযান সাক্ষাৎকালে বলেন, “আল্লাহ তায়ালা আমাদের ইসলাম ধর্ম ও সৌদি আরবের মতো বরকতময় ও নিরাপদ দেশ দান করেছেন। এই দেশ কোরআন ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “দুই পবিত্র মসজিদের সেবার সুযোগ পেয়ে সৌদি আরব গর্বিত। ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে আমাদের শাসকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”

গ্র্যান্ড মুফতি আরও বলেন, “আমি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উত্তম প্রতিদান দান করেন এবং আমাদের দেশসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতি বজায় রাখেন।”

পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ আল-ফাওযান বলেন, জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদ সব সময়ের মতোই বিভিন্ন ধর্মীয় ও আইনগত প্রশ্ন পর্যালোচনা ও জবাবদানে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরিষদ ইসলামের মূল মূল্যবোধ সংরক্ষণে ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদ ও স্থায়ী ফতোয়া কমিটির মহাসচিব এবং গ্র্যান্ড মুফতির দপ্তরের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শেখ ড. ফাহদ আল-মাজিদ।

ধর্মীয় বিষয়ক বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতৃত্ব কাঠামোতে জ্যেষ্ঠ ওলামা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নীতি–নির্ধারণ ও ইসলামি আইনগত ব্যাখ্যা প্রদানে ভূমিকা রাখে। গ্র্যান্ড মুফতির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটির ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও সমন্বিত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধর্ম