দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বৃদ্ধি, ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১,৬৮০ টাকা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বৃদ্ধি, ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১,৬৮০ টাকা

অর্থনীতি ডেস্ক

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। রোববার (২ নভেম্বর) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

শনিবার (১ নভেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের এক বৈঠকে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।

বাজুস জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারেও দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় সব মানের সোনার দাম ভরিপ্রতি গড়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

নতুন ঘোষণায় দেখা যায়, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৯৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়েছে ১ হাজার ৩৬৫ টাকা, নতুন দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি এক ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর সোনার দাম কমানো হয়েছিল। সে সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৯৬ টাকা। একই দিনে ২১ ক্যারেটের সোনার দাম কমানো হয় ২ হাজার ৫০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ক্ষেত্রে ২ হাজার ১৪৬ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ৮৩১ টাকা। তারও আগে, ৩০ অক্টোবর সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল ৮ হাজার ৯০০ টাকা।

এই মাসেই চার দফা ওঠানামার পর আবারও সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এল। বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তনের প্রভাব স্থানীয় বাজারে পড়েছে।

এদিকে, রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

সোনার দামের এই সাম্প্রতিক বৃদ্ধি দেশের জুয়েলারি বাজারে নতুন করে প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিশেষ করে উৎসব ও বিয়ের মৌসুমে ভোক্তারা এর প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন।

অর্থ বাণিজ্য