মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি: ডিএনসিসি প্রশাসক

মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি: ডিএনসিসি প্রশাসক

জাতীয় ডেস্ক

ঢাকা, রোববার, ২ নভেম্বর ২০২৫: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার ফলে গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সীমিত জনবল থাকা সত্ত্বেও কার্যকর নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) গুলশানে ডিএনসিসির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে লোকবলের স্বল্পতা একটি বড় বাধা হলেও নিয়মিত মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহের কারণে বিগত চার মাসে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, ডিএনসিসির কর্মীরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্য ও ডেটা সংগ্রহ করছেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত এলাকা চিহ্নিত করা সহজ হয়েছে এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, “ডেঙ্গু সমস্যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। অনেক সময় মশার বংশবৃদ্ধি ব্যক্তিগত বাড়ির ছাদ, রান্নাঘরের নিচে বা ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে হয়—যেখানে সরকারি কর্মীদের প্রবেশাধিকার সীমিত। তাই নাগরিকদেরও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও পানি জমে থাকা প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।”

তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির কর্মক্ষমতা বাড়াতে একটি বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সদস্যরা মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কাজের অগ্রগতি তদারকি করছেন। তাদের কার্যক্রমের ফলে মাঠপর্যায়ে কর্মীদের দক্ষতা ও কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজাজ বলেন, “এই মনিটরিং বডিকে যুক্ত করার ফলে গত চার মাসের তুলনায় পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। সীমিত জনবল ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে অফিস ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই জনবল সংকট একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে যতটুকু সম্পদ ও কর্মী রয়েছে, তা দিয়েই কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “ডিএনসিসি একা পুরোপুরি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এজন্য প্রত্যেক নাগরিককে নিজের বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা এবং পানি জমে থাকতে না দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, আগামী দিনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।

স্বাস্থ্য