সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিলের ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি

সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিলের ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি

আইন আদালত ডেস্ক

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য করা আপিলের টানা ছয় দিনের শুনানি রোববার (২ নভেম্বর) শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাতজন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

বিএনপির পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে ২১ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২১ অক্টোবর প্রথম দিনের শুনানি শুরু হয়, ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। ২৩ অক্টোবর তৃতীয় দিনে আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। ১৪ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পরবর্তী চার দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিটকারী পক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন।

সংশ্লিষ্ট আপিলের পটভূমি অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল করেন। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ২০১১ সালের ৫ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবং নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আলাদা আবেদন দায়ের করেন।

শুনানি চলাকালীন রিটকারী ও সংখ্যালঘু আইনজীবীরা রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনে প্রতিক্রিয়া জানান। আপিলের রায় আজকের শুনানি শেষে নির্ধারিত হবে।


আইন আদালত