রাজনীতি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং দেশের সব ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানার্থে তার নির্বাচনি আসনগুলোতে প্রার্থী দেবে না এনসিপি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা জুলাই যোদ্ধা সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ৩০০ আসনই আমাদের লক্ষ্য। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে তার আসনগুলোতে আমরা প্রার্থী দেব না। অন্য সব আসনে শাপলা কলি প্রতীকে আমাদের প্রার্থী থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিন ভাই মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনাই প্রমাণ করে, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই যোদ্ধারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এনসিপি এসব মানুষের পাশে আছে। তবে শুধু আমরা নয়, সরকার ও সব রাজনৈতিক দলেরই এই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের ফলেই আমরা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছিলাম।”
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসার দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হলেও তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। “এর ফলেই লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, শহীদের সংখ্যা বাড়ছে,” বলেন তিনি। “আমাদের আহ্বান, যারা আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন, তাদের যেন পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শুধু সাময়িক নয়, তাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন যেহেতু নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, এই সময়ে যেন আমরা আহত ও শহীদ জুলাই যোদ্ধাদের ভুলে না যাই। তাদের ত্যাগ স্মরণে রেখে সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা দিতে হবে। সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যসুবিধা নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা জরুরি।”
সাক্ষাৎ শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু এবং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি তুহিন খানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


