রাজনীতি ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “আমরা শাপলা মার্কা চেয়েছিলাম। শাপলা না দিয়ে দিয়েছে শাপলার কলি। আমরা বলি, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন—করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু শাপলা কলি থেকে শাপলা ফুটতে বেশিদিন লাগবে না।”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলতলা ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণার পর এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে এনসিপি ও সহযোগী সংগঠন যুবশক্তির নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম বলেন, এনসিপি হলো সেই তরুণদের দল, যারা দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি দাবি করেন, “এনসিপি হলো সেই সন্তানদের দল, যারা এমন একজনের পতন ঘটিয়েছে, যাকে দেশের সব রাজনৈতিক দল মিলে নামাতে পারেনি। একটু আস্থা রাখুন, ইনশাল্লাহ আমরা আস্থার প্রতিদান দেব।”
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা যেই দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন যেন সবাই জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন।”
সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে সারজিস আলম বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে আমাদের সাংগঠনিক ভিত্তিকে আগে শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছি। কারো সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, সেটা পরের বিষয়। আমরা পরনির্ভরশীল রাজনীতি করতে আসিনি; আগে নিজেদের ভিত্তিটা শক্ত করতে চাই।”
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, “দেশ ও জনগণের স্বার্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স হয়—তাহলে আমরা তা বিবেচনা করব। না হলে এককভাবেই আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”
তিনি বলেন, “বিশ্বের ইতিহাসে এমন অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে, যারা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে, অথচ প্রথম নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি। আমরা সিটের রাজনীতিতে অংশ নিতে চাই না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চাই, জনগণের স্বার্থে সংসদে যেতে চাই।”
সারজিস আলমের বক্তব্যে এনসিপির আগামী নির্বাচনে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন দল হিসেবে এনসিপির সাংগঠনিক ভিত্তি কতটা দৃঢ়, তা নির্ভর করবে তৃণমূল পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম কতটা বিস্তৃত হয় তার ওপর।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলতলা ইউনিয়নে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এনসিপি উত্তরাঞ্চলে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।


