বিনোদন ডেস্ক
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে এসে নিজের জীবনের কঠিন সময়ের গল্প শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, পর্দায় তারকারা যতই উজ্জ্বল দেখাক না কেন, তাদের সাফল্যের আড়ালে থাকে দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, হতাশা ও অদম্য সংগ্রাম।
সম্প্রতি মোটিভেশনাল ট্রেইনার ডন সামদানির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শুভ জানান, তার নায়ক হয়ে ওঠার পথ একেবারেই সহজ ছিল না। অনুষ্ঠানে তিনি খোলামেলাভাবে নিজের শুরুর দিনের নানা অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
আরিফিন শুভ বলেন, অভিনয় জগতে প্রবেশের আগে তিনি কাজ করতেন প্রডাকশন ইউনিটে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “এক সময় আমি প্রডাকশনে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতাম। মানে শুটিংয়ে পরিচালক ও শিল্পীদের দেওয়া নির্দেশ পালন করতাম। যেমন—‘এই পানি দে’, ‘এই আর্টিস্টের স্যান্ডেল মোছ’—এই ধরনের কাজ করতে হতো।”
অভিনেতা আরও জানান, মডেলিং দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হলেও সেই পথও ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। এক শুটিংয়ের স্মৃতি টেনে তিনি বলেন, “একটা বিজ্ঞাপনের কাজ ছিল, সেখানে ডন ছিলেন মডেল আর আমি ছিলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। কিন্তু আমার স্বপ্ন বড় ছিল, তাই সেই জায়গা থেকে উঠে আজ আমি নায়ক হয়েছি।”
শুভর এই খোলামেলা বক্তব্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ছিল অনুপ্রেরণার বার্তা হিসেবে—যে সাফল্য কখনও রাতারাতি আসে না, বরং তা গড়ে ওঠে অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস ও ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে।
অভিনেতার এই বক্তব্য তার দীর্ঘ পথচলার প্রতিফলনও বটে। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরে ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার।
এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এর মতো একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করে তিনি দর্শকদের কাছে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার বহুমাত্রিক অভিনয় ও চরিত্রের বৈচিত্র্য তাকে দেশের অন্যতম শীর্ষ নায়কের স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
সম্প্রতি বলিউডের একটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিসরেও আলোচনায় এনেছে।
এই অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের মধ্য দিয়েই শুভ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেন—প্রতিটি স্বপ্নের পেছনে থাকে সংগ্রাম, এবং সেই সংগ্রামকেই আলিঙ্গন করতে হয় সফলতার পথে হাঁটতে।


