আইন আদালত ডেস্ক
ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে সাদিকুর রায়হান নামে এক ব্যক্তির করা প্রতারণার অভিযোগে এ রায় প্রদান করা হয়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন আসামিদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে, দণ্ডিতদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, এবং অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। আসামিদের অনুপস্থিতিতে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, সাদিকুর রায়হান ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইভ্যালির মাধ্যমে তিনটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন। কোম্পানির ফেসবুক পেজে দেওয়া চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে তিনি ওই পণ্যগুলো কিনতে আগ্রহী হন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেলগুলো তাঁর কাছে পৌঁছায়নি। এরপর সিটি ব্যাংকের দুটি চেক দিয়ে তাঁকে অর্থ প্রদান করা হয়, কিন্তু ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল চেক দুটি নগদায়ন করতে গেলে তা ফেরত আসে।
এ ঘটনার পর ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর সাদিকুর রায়হান প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করেছে, যা পরবর্তীতে গ্রাহকদের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে এবং প্রমাণ সংগ্রহের পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের মাধ্যমে ইভ্যালির বিরুদ্ধে চলমান আইনি কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক স্পষ্ট হলো। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা নানা অভিযোগের মুখে পড়েছে, বিশেষত প্রোডাক্ট ডেলিভারি না দেওয়ার এবং অর্থ ফেরত না দেওয়ার বিষয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় গ্রাহকদের জন্য একটি বার্তা হতে পারে যে, প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দায়বদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডিত হওয়া ইভ্যালির দুই শীর্ষ নির্বাহী এখন কারাগারে যাবেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্তের সম্ভাবনা রয়েছে।


