আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত ৪,০০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরও প্রায় ১৭,০০০ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র থামিন আল-খিতান এক সাক্ষাৎকারে জানান, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে বেসামরিক মানুষের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরেও এই হামলা থামেনি, যা আন্তর্জাতিক আইন এবং চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের মানুষ একটি অনিশ্চিত এবং আতঙ্কিত পরিস্থিতিতে বাস করছেন। “এ অঞ্চলের মানুষের ওপর চলমান প্রাণঘাতী হামলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধের চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন উভয়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন,” বলেন আল-খিতান।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলা পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানে রূপ নিয়েছে। এতে লেবাননে আরো ব্যাপক ধ্বংস এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, হামলার পর এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরক হামলা চালিয়েছে, যার কারণে সেখানকার জনসাধারণের মধ্যে বিশাল হতাশা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধবিরতির প্রতি কঠোর আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা নিয়ে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর এই হামলার জন্য দায়ী পক্ষগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও, ইসরায়েলি সরকার তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যা আরও মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় লেবাননের জনগণ মানবিক সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, লেবাননের পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যদি অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ না করা হয়।


