বিনোদন ডেস্ক
মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি তার নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে পরিচয় করিয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে একটি প্রচারণামূলক ভিডিও প্রকাশ করে সাসপেন্স তৈরি করেছিল, যেখানে অভিনেতা আফরান নিশোর সঙ্গে ‘নতুন মুখ’-এর আগমনের রহস্য ফুটে ওঠে।
প্রচারণার ভিডিওতে দেখা যায়, আফরান নিশো একটি মেকআপ রুমে কিছুটা উত্তেজিত অবস্থায় বলছেন, ‘এতকিছুর পরও নিউ ফেস!’ পরবর্তী অংশে একটি অন্ধকার আবহে তিনি বলেন, ‘কে এই নিউ ফেস? তার সাথে দেখা হবে… ফেস টু ফেস!’ এরপর করিডোরের অন্য প্রান্ত থেকে ‘HAMZA’ নাম লেখা জার্সি পরা একজন প্রবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রচারণা মূলত সৃজনশীলভাবে নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। তারা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের ভক্তদের সঙ্গে হামজা চৌধুরীর দৃঢ় সম্পর্ক এবং তার ক্রমবর্ধমান প্রভাবই তাকে ব্র্যান্ডের নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচনের প্রধান কারণ।
এই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের বাজারজাতকরণের কৌশল আরও শক্তিশালী করতে চায়। বিশেষত যুব ও ক্রীড়াপ্রেমী প্রজন্মের মধ্যে এই প্রচারণা ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, যা সংস্থার জন্য নতুন ভক্তশ্রেণী আকর্ষণের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খেলোয়াড়দের জনপ্রিয়তা এবং সামাজিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগের এই ধরণ দেশের বাজারে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারীদের জন্য একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে। এটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করবে না, বরং যুব প্রজন্মের মধ্যে তাদের পণ্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, হামজা চৌধুরীর সঙ্গে আফরান নিশোর সংলাপ ও ‘ফেস টু ফেস’ দৃশ্য তৈরি করে প্রচারণার গল্পকে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। এই প্রচারণা কেবল নতুন মুখের পরিচয় করানোই নয়, বরং ভক্ত ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আগ্রহ এবং আলোচনা সৃষ্টি করার দিকেও লক্ষ্য রাখে।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের এই পরিবর্তনের প্রভাব সামনের মাসগুলোতে আরও স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হবে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার প্রতিক্রিয়া এবং নতুন ভোক্তা সংযোগের পরিমাণ প্রতিষ্ঠানটির বিপণন কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


