ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা, রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা, রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা: গত রোববার রাত (১৬ নভেম্বর) থেকে সোমবার ভোর (১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও, বড় ধরনের কোনো প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষতি হয়নি।

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ নিশ্চিত করেছেন, রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে তিতুমীর কলেজের মূল গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর কিছু সময় পরে মহাখালীর আমতলী মোড়েও একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। একই সময়ে, মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পানির ট্যাংকির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। তবে, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই বাসের স্টাফরা তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার ফলে কোনো প্রাণহানি হয়নি এবং শুধু সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। রাত ৯টার দিকে সেন্ট্রাল রোডে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বাংলামোটর এবং শ্যামপুর এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসব বিস্ফোরণে মেহেদী নামের এক ব্যক্তি আহত হন। রাত ১০টার দিকে গাবতলী ও মহাখালীর রেলক্রসিং এলাকায়ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধে কাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেন, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

এ ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

তবে, এ ঘটনায় এখনও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ