অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৪ জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে, যার ফলে তাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়াও, এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করার কারণে তার দণ্ড কিছুটা কমানো হয়।
রায় ঘোষণার পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ, যিনি বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনায় কম সক্রিয়, সোমবার (১৭ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ‘জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড’ শিরোনামে কিছু গণমাধ্যমের ব্রেকিং নিউজ শেয়ার করেন। সোহেল তাজ তার পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, “Justice! Justice for the over 1400 brutally killed and the thousands injured including 600 blind who will never see again!” অর্থাৎ, “ন্যায়বিচার! ১,৪০০-এর বেশি মানুষকে নৃশংসভাবে খুন ও হাজারো আহত (৬০০ দৃষ্টিহীনসহ) ন্যায়বিচার পেল!”
এদিকে, মামলার রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক মহল, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিচার বিভাগের বিশ্লেষকরা রায়টির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করছেন। বিশেষ করে গণহত্যার ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। তবে, রায় কার্যকর হওয়ার পর বিচার প্রক্রিয়ার সঠিকতা এবং এর আইনি ভিত্তি নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠেছে।
এদিকে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে অনেক আলোচনা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধের মধ্যে রয়েছে, ২০১৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণহত্যা, নিরীহ মানুষদের হত্যা, শারীরিক নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এই মামলার রায়টি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে তার সমর্থক ও বিরোধী দলের মধ্যে এই রায়ের প্রতি বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।


