বিএনপির রুহুল কবির রিজভী: আওয়ামী লীগ ব্যাংক থেকে লুট করা টাকা দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে

বিএনপির রুহুল কবির রিজভী: আওয়ামী লীগ ব্যাংক থেকে লুট করা টাকা দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুট করা টাকার মাধ্যমে ককটেল কিনে নাশকতা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, সরকার পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেলের টাকা আত্মসাৎ করে এই নাশকতার অর্থ যোগান দিচ্ছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যারা অপরাধ করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে, তারা এখন বাসে আগুন দেয়। এই অর্থ ব্যাংক থেকে লুট করে ককটেল কেনা হচ্ছে এবং এই টাকার মাধ্যমে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।”

রিজভী আরো বলেন, “আমরা একটি শান্তিময় বাংলাদেশ চাই, যেখানে সবাই নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে এবং নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নির্বিঘ্ন ও ইনক্লুসিভ।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, শেখ হাসিনার অপরাধের জন্য তাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হলে তা দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং জনগণের বিশ্বাস এখন এমন যে, এই সরকার নির্দেশিত আদালতের রায়ে না, জনগণের ন্যায্য বিচারই হবে। তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী জনগণ আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না, এবং এই বিষয়টি আমরা সুস্পষ্ট প্রমাণও দিয়েছি।”

রিজভী বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একসময়ের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এই দেশেরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শিশু সন্তানদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল, যা আজও আমাদের মনে পড়ে।”

তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ফ্যাসিবাদী পন্থায় মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। রিজভী বলেন, ‘‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তবে আমরা সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে বলেছি যে, এই আগুনের সন্ত্রাসের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”

এছাড়া, ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনার অধিকার বিরোধী কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রিজভী বলেন, ‘‘ভারতে বসে শেখ হাসিনার নির্দেশনা আইনসম্মত নয় এবং ভারত কীভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাশকতার সুযোগ দেয় তা জনগণ বুঝে গেছে।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের আচরণ মেনে নেবে না এবং এটি একেবারেই কাম্য নয়।”

রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কোনো ধরনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে তাদের উচিত সেই অর্থ দান করে দেওয়া।”

এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল সহ বিএনপির অন্য নেতারা।

রাজনীতি