শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে শান্ত, সংযত এবং দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সরকার এ রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সকল স্তরের নাগরিকদের আইন মেনে চলার অনুরোধ করেছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। সরকার রায়ের পর উত্তেজনা বা সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “এই রায়ের পর জনগণের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক, বিশেষত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য। তবে, আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন কেউ জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে না পারে—এ বিষয়ে সরকার সকলকে সতর্ক করছে।”

এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, কোনো ধরনের অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা বা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। এটি একটি দৃঢ় বার্তা, যাতে দেশের জনগণ বুঝতে পারে যে, কোনো পরিস্থিতিতেই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা যাবে না এবং সরকার দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকবে।

এদিকে, আজ (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল এই রায়ে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। একই সঙ্গে, দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতি হিসেবে আমরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় পেয়েছি, যা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তবে, এ রায়ের পর কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি হয়, তার জন্য প্রতিটি নাগরিককে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো প্রয়োজন। সরকার সব ধরনের অশান্তি বা উত্থানমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই বিষয়ে সতর্ক ও তৎপর থাকবে।

উল্লেখযোগ্য যে, এই রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। সঠিক পরিস্থিতি ম্যানেজ করার জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

জাতীয়