বিজবিডিনিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ (১৯ নভেম্বর) ৬১ বছর পূর্ণ করছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির কারণে বিএনপি এবার তার জন্মদিন উপলক্ষে গত বছরের মতো কোনো বড় ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না রেখে দোয়া–মিলাদ এবং অর্থদান পরিচালনা করেছে।
১৯৬৫ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তারেক রহমান। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। পারিবারিকভাবে তার ডাকনাম ‘পিনো’। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ছোটবেলা থেকেই সক্রিয় ছিলেন।
রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হিসেবে যোগ দেন, তখন তার বয়স ২২ বছর। এর আগে তিনি পারিবারিক ও স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মায়ের পাশাপাশি দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
২০০২ সালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এরপর ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন এবং ২০১৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্য থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
রাজনীতিতে তার অবদান এবং নেতৃত্বের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে তার প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। বিএনপির organisational কাঠামো ও কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ দলের রাজনৈতিক কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান সময়ে বিদেশ থেকে দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নীতি নির্ধারণে তার অবদান দলের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হিসেবে দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমানের নেতৃত্ব বিএনপির পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ। দলের স্থানীয় ও জাতীয় স্তরের সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং নীতি নির্ধারণে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ দলের দীর্ঘমেয়াদি কর্মকৌশল প্রণয়নে প্রভাব ফেলতে পারে।
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো বড় সমাবেশ বা উৎসব না থাকলেও দলীয় শাখা এবং অনুসারীরা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, দোয়া–মিলাদ এবং প্রয়োজনে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে এমন সীমিত অনুষ্ঠান আয়োজন দলের কৌশলগত অবস্থানকে প্রতিফলিত করছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমানের ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। ভবিষ্যতে দলের অভ্যন্তরীণ সংগঠন, নীতি প্রণয়ন এবং নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে তার প্রভাব অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


