মোয়ানা লাইভ-অ্যাকশন সিনেমার টিজার প্রকাশ

মোয়ানা লাইভ-অ্যাকশন সিনেমার টিজার প্রকাশ

বিনোদন ডেস্ক

ডিজনির জনপ্রিয় চরিত্র মোয়ানা এবার অ্যানিমেশনের রঙিন দুনিয়া ছাড়িয়ে বাস্তব মানুষের অভিনয়ে পর্দায় ফিরছে। ২০২৫ সালের এই নতুন প্রজন্মের লাইভ-অ্যাকশন রিমেকের টিজার সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে নাম ভূমিকায় দেখা গেছে নবাগত অভিনেত্রী ক্যাথরিন লাগাইয়াকে।

টিজারটি ২০১৬ সালের অ্যানিমেটেড সিনেমার শুরু থেকে পরিচিত নস্টালজিয়াকে ফিরিয়ে আনে, যেখানে শিশু মোয়ানা প্রথমবার সমুদ্রের জাদুকরী স্পর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়। একটি ঝিনুক তাকে সমুদ্রের গভীরের দিকে টানে এবং দর্শকদের সামনে হাজির হয় মোটুনুই দ্বীপের সেই সাহসী তরুণীর চরিত্র। টিজারের এক বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিশাল আকৃতির বাজপাখি, যা মুহূর্তের মধ্যে রূপান্তরিত হয়ে ডেমিগড বা উপদেবতা মাউই চরিত্রে পরিণত হয়। মাউই চরিত্রে অ্যানিমেশন সিনেমার মতোই অভিনয় করেছেন হলিউড সুপারস্টার ডোয়াইন জনসন।

টিজারের শেষ দৃশ্যে দেখা যায় ক্যাথরিনকে ভেলায় চড়ে সমুদ্র পাড়ি দিতে, যেখানে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে আইকনিক সংলাপ ‘আই অ্যাম মোয়ানা’ বলেন। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এমি ও টনি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী পরিচালক থমাস কাইল। প্রযোজনায় রয়েছেন ডোয়াইন জনসন, বিউ ফ্লিন, লিন-ম্যানুয়েল মিরান্ডা এবং ড্যানি গার্সিয়ার। মূল অ্যানিমেটেড সিনেমায় মোয়ানার কণ্ঠ দেওয়া আউলি ক্রাভালহো এবার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকবেন।

সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে মোয়ানার বাবা ‘চিফ তুই’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন তুই, মা ‘সিনা’ চরিত্রে ফ্র্যাঙ্কি অ্যাডামস এবং দাদী ‘তালা’ চরিত্রে রেনা ওয়েন। সিনেমা মোয়ানার পরিবার এবং মোটুনুই দ্বীপের জীবন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আধুনিক প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই নির্মিত।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে নিজের মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ডোয়াইন জনসন প্রথম লাইভ-অ্যাকশন রিমেকের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাহসিকতার গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সিনেমার মূল উদ্দেশ্য। সবকিছু ঠিক থাকলে সিনেমাটি ২০২৬ সালের ১০ জুলাই বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

লাইভ-অ্যাকশন রিমেকের মাধ্যমে দর্শকরা ২০১৬ সালের অ্যানিমেটেড মোয়ানার সঙ্গে পরিচিত সেই গল্পের নতুন দিক এবং চরিত্রগুলোর বাস্তব অভিনয় উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, সিনেমার টিজারেই দেখা যায় কিভাবে প্রযুক্তি এবং অভিনয়কে সমন্বয় করে সমুদ্রের জাদুকরী অভিজ্ঞতা দর্শকদের সামনে আনা হয়েছে। বিশেষ করে ডোয়াইন জনসনের মাউই চরিত্র এবং ভেলায় চড়ে মোয়ানার দৃশ্যগুলো ভিজ্যুয়াল প্রভাব এবং চরিত্রের বাস্তবতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সিনেমাটি কেবল বিনোদনই নয়, বরং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার দিক থেকেও গুরুত্ব বহন করছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও সাহসিকতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিনোদন