জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা, রোববার, ২৩ নভেম্বর: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, আগামী ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে দিনব্যাপী এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
সংলাপে মোট ৮০টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানায়, সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলো নিয়ে সংস্থাগুলোর মতামত ও পরামর্শ সংগ্রহ করা। কমিশন আশা করছে, পর্যবেক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ নির্বাচনের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে। এতে ভোটগ্রহণ, নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা, ভোটারদের সুবিধা এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখার কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।
পূর্ববর্তী নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার অবদান এবং পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।此次 সংলাপেও আশা করা হচ্ছে যে সংস্থাগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সংলাপ চলাকালীন প্রতিটি সংস্থাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ উপস্থাপন করার জন্য। এছাড়া, সংলাপের তথ্য ও প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ পরবর্তীতে কমিশনের নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হবে।
দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে এই সংলাপ নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির এক অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কমিশন আশা করছে, সংলাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও মতামত ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা, নির্বাচনের সময়কার সমস্যা চিহ্নিত করা এবং কার্যকর সমাধান গ্রহণে সহায়ক হবে।
সংলাপ শেষে কমিশন প্রাপ্ত সুপারিশসমূহের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে। এতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজতর করা, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ, তফসিল অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অন্তর্ভুক্ত।
এ ধরনের সংলাপ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসি সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে এই সংলাপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।


