জাতীয় ডেস্ক
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ভোট দিতে যাচ্ছেন। প্রবাসী ভোটারদের পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রথম ধাপের নিবন্ধনের সময়সীমা আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) শেষ হচ্ছে। চার দিনব্যাপী এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলের ৫২টি দেশে ১৫ হাজারেরও বেশি প্রবাসী ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে আপডেট হওয়া নিবন্ধন রিপোর্টে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবাসী ভোটারদের জন্য বিশ্বব্যাপী পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে, ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রবাসীরা এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালিম আহমাদ খান জানান, অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীরা ধাপে ধাপে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট ৩৪টি দেশে ১৫,৭৫ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩,৮২১ জন এবং মহিলা ভোটার ১,২৫৪ জন। দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ৬,৬৭৯ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। জাপান থেকে নিবন্ধন করেছেন ৩,৭৩৮ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১,৮০৮ জন এবং চীনে ১,১৫৫ জন ভোটার। নির্বাচনি প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধন চিত্র আজ রাত ১২টার পর পাওয়া যাবে।
ইসি জানিয়েছে, দেশের ভেতরের তিন ধরনের ব্যক্তি এবং প্রথম ধাপে বাদ পড়া প্রবাসী ভোটারদের জন্য বিশেষ নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিশেষ নিবন্ধন কার্যক্রম ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটে শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটাররাই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলকতার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন ও ভোট প্রদান প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নির্বাচনের ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সুষ্ঠু পোস্টাল ভোটিং নিশ্চিত করতে ইসি পর্যায়ক্রমে প্রবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে এবং নিবন্ধন ও ভোটের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভরভাবে যাচাই করছে।
এছাড়া, প্রবাসী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত এই পদক্ষেপ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানো এবং ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। ভবিষ্যতে প্রবাসী ভোটারদের সংখ্যা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে, তা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রবাসী জনগোষ্ঠীর প্রভাবকে দৃঢ় করবে।


