শিক্ষা ডেস্ক
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর আলহাজ্ব গেন্দা মরিয়ম সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের ১১ জনকে আগামী ২ ডিসেম্বর উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ডকেট নং ১৪৪২-এর মাধ্যমে অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে যে, মাদ্রাসায় মো. আবুল হোসাইনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া অবৈধভাবে সম্পন্ন হয়েছে। একইসঙ্গে, ওই সময়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু কর্মচারীর নিয়োগও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কাজ হলো অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়মের দিকগুলো পর্যালোচনা করা।
তদন্ত কমিটিতে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, সদস্য সচিব মোছা. ফাতেমা বেগম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, অভিভাবক সদস্য জাহাংগীর আলম, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শফিউল ইসলাম, কো-অপ্ট সদস্য মো. মোজাম্মেল হক, দাতা সদস্য মো. শাহজালাল উদ্দিন, অভিভাবক সদস্য মো. খালেক আলী, অভিভাবক সদস্য মো. খলিলুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান এবং এমপিওভুক্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হোসাইনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে (লিফট-৮) উপস্থিত হয়ে তদন্ত কমিটির সামনে শুনানিতে অংশ নিতে হবে। এই শুনানিতে উপস্থিত থাকার মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও প্রামাণ্যতা নিশ্চিত করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এই পদক্ষেপকে বলা হচ্ছে, মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব দূর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যা ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার যথাযথতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
অভিযোগের বিষয়টি চলমান মামলা সংক্রান্ত প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অধ্যক্ষ পদ ও কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ আদালতের নজরেও আসতে পারে। এর ফলে, মাদ্রাসা পরিচালনা, শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়াও, এই ধরনের তদন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীল প্রশাসন এবং নিয়মিত তদারকির গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণ করে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর আশা করছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কোনো অনিয়ম দ্রুত সনাক্ত ও সমাধান করা হবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও নিরপেক্ষ ও নিয়মমাফিক হবে।


