জাতীয় ডেস্ক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বুধবার সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে তিনি বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি দলের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই আমরা ভোটের দিন সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।’
সিইসি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনী কার্যক্রম চলাকালীন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা জোরদার করা, নজরদারি বৃদ্ধি, এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সমন্বিত প্রস্তুতি। তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কঠোরভাবে নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচন সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় মনিটরিং টিম মোতায়েনের মাধ্যমে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিইসির মন্তব্য অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নির্বাচনের দিন মাঠে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া, সিইসি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক মহড়া ও প্রশিক্ষণগুলো নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সিইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভোটারদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ বাড়বে এবং ভোট প্রদানের হার বৃদ্ধি পাবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এছাড়া, নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন, নিরাপত্তা মহড়া এবং নজরদারি ব্যবস্থা সর্বাধিক কার্যকর করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের এই মন্তব্য দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকিকে সামনে আনে। তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


