বিএনপি বহিষ্কার করা সাত নেতাকে পদে ফিরিয়েছে

বিএনপি বহিষ্কার করা সাত নেতাকে পদে ফিরিয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপি সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পূর্বে বহিষ্কার করা সাত নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিউল আজম মৈশান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য তাহমিনা হক পপি, সিলেট জেলার কম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, যশোর জেলার কেশবপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন বাবু এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলা বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন ভূইয়াকে পূর্বে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের পর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া গত ১৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেনকেও দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের কারণে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্প্রতি তারও পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপি বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের আবেদনের পর সম্প্রতি তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

এ ধারাবাহিকতায় গতকাল মোট ৭১ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, যারা এবার আবার দলের প্রাথমিক সদস্য পদে ফিরেছেন। দলীয় শৃঙ্খলা এবং কার্যক্রমে সমন্বয় বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির শৃঙ্খলা কমিটি জানিয়েছে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে দল নেতাকর্মীদের মাঝে কার্যকরী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং দলের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায়। এটি দলের নিয়ম ও নীতিমালা মেনে নেওয়া একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরবর্তী সময়ে, দলীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কমিটি এই নেতাদের সাথে সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করবেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের এই পদক্ষেপ দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও একীভূত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে।

এ পর্যন্ত বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

রাজনীতি