খেলাধুলা ডেস্ক
ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে পঞ্চম ম্যাচে প্রথমবারের মতো অপরাজিত থাকার মর্যাদা হারিয়েছে। বুধবার ইংল্যান্ডের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের মুখোমুখি হয়ে ২-০ গোলে হেরেছে সিটি। আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো ও প্যাট্রিক শিকের গোলের মাধ্যমে বুন্দেসলিগা ক্লাবটি ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ জয় অর্জন করেছে।
এই হারের পেছনে দলের একাধিক পরিবর্তন অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পেপ গার্দিওলা কোচিং করা সিটির একাদশে মূল খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় দশজনকে পরিবর্তন করা হয়েছিল। ম্যাচের পর গার্দিওলা স্বীকার করেছেন, এ পরিবর্তনের পরিমাণ ‘অতিরিক্ত’ ছিল এবং হারের পুরো দায় তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছিল। এটি হয়তো খুব বেশি ছিল, ফলই তার প্রমাণ। আমি দায় নিচ্ছি।”
গার্দিওলা আরও উল্লেখ করেছেন, খেলোয়াড়দের বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন। “আমি সবাইকে খেলাতে পছন্দ করি। যখন একজন ফুটবল খেলোয়াড় দীর্ঘ সময় খেলেনি, তখন তাকে খেলানো কঠিন হয়ে যায়। আমি এখনো বিশ্বাস করি, যারা প্রথম একাদশে ছিল তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। তবে আমরা সেরা মানের ফুটবল উপহার দিতে পারিনি এবং তার দায় আমার,” তিনি বলেন।
ম্যাচে সিটি আর্লিং হালান্ড, রুবেন দিয়াস, বের্নার্দো সিলভা ও জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাকে প্রথম একাদশ থেকে বিশ্রামে রেখেছিল। এই পরিবর্তনগুলি দলের খেলায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এবং লেভারকুসেন সুবিধা নিয়েছে।
গার্দিওলা আশা হারাচ্ছেন না। তিনি উল্লেখ করেছেন, দল এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগের তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। আগামী মাসে চাপের ম্যাচে তারা রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে নামবে। এরপর বাকি দুটি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বোদো/গ্লিমট ও গ্যালাতাসারেই। গার্দিওলা বলেন, “আমাদের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। পরবর্তী ম্যাচে মনোনিবেশ করতে হবে। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।”
এই হার ম্যানচেস্টার সিটির গ্রুপ পর্বে প্রথম হারের রেকর্ড তৈরি করেছে। ২০১৮ সালের পর প্রথমবার তারা ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ স্টেজে হেরেছে, যা টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারাবাহিকতা শেষ করেছে। সিটির জন্য এটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে আগামি কঠিন ম্যাচগুলোতে তাদের প্রস্তুতি ও কৌশল নির্ধারণে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এই ফলাফলের ফলে ম্যানচেস্টার সিটির জন্য গ্রুপে অবস্থান ও পরবর্তী রাউন্ডে উন্নীত হওয়ার দিকটি জটিল হয়ে উঠেছে। দলের প্রধান কোচ গার্দিওলার কাছে এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো খেলোয়াড়দের সামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন বজায় রেখে শীর্ষ স্তরের পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা।


