জাতীয় ডেস্ক
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সচিবদের কাছে চিঠি প্রেরণ করে অনুরোধ করেছে যে, সচিবালয়ে অপরিচিত দর্শনার্থীদের ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) প্রদানে সতর্কতা অবলম্বন করা হোক এবং পরিচিতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ওটিপি না দেওয়া হোক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবরা সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ওটিপি প্রদান করে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে যে, ওটিপি প্রদান ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ওটিপি গ্রহণ করে কিছু দর্শনার্থী সচিবালয়ে প্রবেশ করে এবং সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ ধরনের ঘটনা সচিবালয়ের কর্মপরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, অপরিচিত, স্বল্পপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জন্য ওটিপি প্রদান করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে প্রবেশ অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং কর্মপরিবেশের সুষ্ঠুতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
চিঠির একটি অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপ-পুলিশ কমিশনারকেও প্রেরণ করা হয়েছে। উপ-পুলিশ কমিশনারকে সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং নিরাপত্তা প্রটোকল কার্যকরভাবে পালন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হলো দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা অবলম্বন করা, পরিচয় যাচাই করা এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে কার্যকর করা। এর মাধ্যমে সচিবালয়ে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ কেবল নিরাপত্তা বাড়ানোয় সাহায্য করবে না, বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রমে বিভ্রান্তি কমাতে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্দেশনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করলে সচিবালয়ের নিরাপত্তা মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সচিবালয়ে নিয়মিত ও কার্যকর প্রশাসনিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে।


