ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে বৃহস্পতিবার ভোরে ৬.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫৬ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়।

ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুমাত্রার সিমেলুয়ে দ্বীপের পূর্ব উপকূলের সিনাবাং শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, এবং এর গভীরতা ছিল ২৫.৪ কিলোমিটার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং জরিপ সংস্থাগুলো ভূমিকম্পের তীব্রতা ও প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছে।

এটি সুমাত্রা দ্বীপ এলাকায় ভূপৃষ্ঠের কম্পনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এই অঞ্চলটি ভূ-প্রকৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সক্রিয় জোনের মধ্যে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ভূমিকম্প সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে, তবে গভীরতাটি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় স্থাপনাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

এ পর্যন্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোনো মানবহানি বা গুরুতর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাননি। তদুপরি, জরুরি পরিষেবাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের প্রভাব সুমাত্রার বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়েছে, যদিও প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তা মারাত্মক নয়। সেখানকার বাসিন্দারা কম্পনের সময় আতঙ্কিত হলেও সাময়িকভাবে সীমিত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া বড় কোনো প্রভাব ঘটেনি।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে একটি এবং সুমাত্রা দ্বীপ বিশেষত সক্রিয় টেকটনিক জোনের অন্তর্ভুক্ত। ভূমিকম্পের প্রায়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়, তবে এই ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে, যাতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়ানো যায় এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। বিশেষজ্ঞরা আগামী কয়েক দিনের জন্য ছোট কম্পনের সম্ভাবনার প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক