আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫: ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। এক স্থানীয় গভর্নর এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকটি শহরে অভিযান চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলের উত্তরাংশে একটি “বিস্তৃত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান” পরিচালনা করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, “এলাকায় সন্ত্রাসকে শিকড় গাঁড়তে দেওয়া হবে না এবং তা ব্যর্থ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করা হচ্ছে।” অভিযান সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য পরে প্রকাশ করা হবে।
এএফপিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, এই অভিযান নতুন এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া “আয়রন ওয়াল” অভিযানের অংশ নয়। ওই আগের অভিযান মূলত উত্তর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। নতুন অভিযান সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এটি পূর্ববর্তী অভিযানের প্রসার বা পুনরাবৃত্তি নয়।
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। দখলকৃত এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সংঘাত ঘটে, যা অঞ্চলের স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এই ধরনের অভিযানের কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকুচিত হতে পারে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের লক্ষ্য মূলত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং তাদের ক্ষমতা হ্রাস করা। তবে এই ধরনের সামরিক অভিযান সাধারণ মানুষ এবং নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে স্থানীয় জনজীবনে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধারণত এই ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার ও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানায়।
নতুন এই অভিযান আরও কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে পারে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, পশ্চিম তীরে চলমান সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান ব্যতীত নিয়মিত চরম সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে, যা স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও জীবিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।


