‘পিনিক’ সিনেমা আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে

‘পিনিক’ সিনেমা আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে

 

বিনোদন ডেস্ক

চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘পিনিক’ আগামী বছরের রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে ছবির কাজ শুরু হলেও প্রাথমিকভাবে এটি এ বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে নানা কারণে মুক্তি স্থগিত হয় এবং পরবর্তীতে কোরবানির ঈদ ও দুর্গাপূজা বিবেচনায় নেওয়া হলেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়নি।

নির্মাতা জাহিদ জুয়েল জানিয়েছেন, দর্শকদের জন্য একটি মানসম্মত সিনেমা উপস্থাপন করতে সময় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিটি ফ্রেমের যথাযথ ফুটে উঠার জন্য তাড়াহুড়া করা হয়নি। নির্মাতার মতে, আগামী রোজার ঈদে দর্শকরা ‘পিনিক’ উপভোগ করতে পারবেন।

সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট। সহপ্রযোজক ও অভিনেতা শিমুল খান জানিয়েছেন, পুরো ছবির কাজ অনেক আগেই শেষ হলেও একটি গানের শুটিং অসম্পূর্ণ থাকায় মুক্তিতে বিলম্ব হয়েছে। শিমুল খান বলেন, গানের শুটিংয়ের জন্য নায়িকা শবনম বুবলী দেশের বাইরে থাকায় শিডিউল পিছিয়ে যায়। পরে পোস্ট-প্রোডাকশনেও সময় নেওয়া হয়েছে, যাতে ছবিতে কোনো অংশে ঘাটতি না থাকে।

‘পিনিক’ রহস্য ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ঘরানার সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে। নির্মাতা জাহিদ জুয়েল উল্লেখ করেছেন, চলচ্চিত্রটিতে একাধিক ঘরানার স্বাদ একসাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। দর্শকরা ছবিটি দেখতে বসলে কখনও রহস্যে, কখনও থ্রিলার অনুভূতিতে এবং কখনও আবেগের ছোঁয়ায় মগ্ন হবেন। নির্মাতার মতে, পুরো গল্পের কাঠামো দৃঢ় হওয়ায় এটি দর্শককে শেষ পর্যন্ত আকৃষ্ট রাখবে।

চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও শবনম বুবলীর পাশাপাশি সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আলীরাজ, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী, শরীফ সিরাজ ও এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। সিনেমার গল্প ও বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকরা নানামুখী অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

এছাড়া, ছবির প্রযোজক দল ছবির উচ্চমান বজায় রাখার জন্য শুটিং এবং পোস্ট-প্রোডাকশন প্রক্রিয়ায় বিশেষ যত্ন নেন। এর ফলে সিনেমার ভিজ্যুয়াল ও সাউন্ড ইফেক্টের মান উন্নত হয়েছে, যা দর্শককে একটি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। ‘পিনিক’ মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি সিনেমা দর্শক নতুন ধরনের থ্রিলার এবং মানসম্মত সিনেমার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন।

মুক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী রোজার ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হবে এবং তা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে নতুন ঘরানার সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিনোদন