জাতীয় ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সোমবার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের পথে রয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন খুব শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করবে।
শফিকুল আলম জানান, যদিও জাতীয় রাজনৈতিক পর্যায়ে কিছু বিশ্লেষক নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সংজ্ঞায়িত মন্তব্য করেছেন, তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি সবসময়ই স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। রেকর্ডসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। নতুন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পোস্টিং সম্পন্ন হয়েছে, যা কার্যক্রমে কোনো প্রশ্ন তোলে না।
প্রেসসচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং বেশিরভাগ দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিছু সীমিত আকারের দলীয় অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃদলীয় কোন্দল থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। জুলাই মাসে গৃহীত চার্টারের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, যা দলগুলো ও নাগরিকদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু সমালোচক ১৯৯৬, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি তুলনা করছেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা নির্বাচনের অবিশ্বাসযোগ্য বা অংশগ্রহণহীন হিসেবে দেখা উচিত নয়। দেশের অধিকাংশ নাগরিক এ বিষয়ে একমত নন।
শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, সংশ্লিষ্ট দলগুলোর কার্যক্রম এখনও সন্ত্রাসী কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীরাও এ ধরনের কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি প্রত্যাশা করছেন না। তিনি উল্লেখ করেন, প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ছাড়া কোনো দল স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।
প্রেসসচিব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু প্রকাশ্য ভিডিওতে গুজব ও ষড়যন্ত্রের প্রচার হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, এসব ভিডিওতে কুখ্যাত তথ্যবাহকরা মঞ্চে উপস্থিত থাকায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, এসব বিতর্কিত তথ্যের প্রতি সরকারের আপত্তি নেই এবং জনগণ নিজের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
শেষে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে।


