নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেট্রো রেলে ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব বা ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) ঘটেনি। তিনি আরও জানান, ট্র্যাকের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, গত সপ্তাহে ট্র্যাকের উপর একটি ড্রোন পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মোট সাতটি ককটেল ট্র্যাকের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর জনগণের সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি অনুরোধ করেন, “এই সম্পদটি শুধু ডিএমটিসিএলের নয়, এটি সবার। আমাদের সকলকে মিলে এটিকে রক্ষা করতে হবে।”
মেট্রো রেলের বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার পর যাত্রীসংখ্যায় সাময়িক কমতি দেখা গেছে। আগে দৈনিক গড়ে প্রায় চার লাখ ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন, যা এখন চার লাখের কাছাকাছি নেমে এসেছে। এটি যাত্রী নিরাপত্তা এবং ট্রেন চলাচলের ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যার পর সচিবালয় রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের দুই কোচের মধ্যে দিয়ে এক কিশোর ছাদে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটায় ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। ডিএমটিসিএলের এমডি জানান, ছেলেটিকে সিকিউরিটি কর্মকর্তারা দ্রুত নামিয়ে আনে এবং কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। ওই কিশোর কারওয়ান বাজার থেকে আগারগাঁও, সেখান থেকে দুই ট্রেনের মধ্যখানে বসে সচিবালয়ে পৌঁছেছিল। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রেন সার্ভিসটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং প্রতিটি ট্রেকটি পরীক্ষা করা হয়।
মেট্রো রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এমডি জানান, স্টেশনের নিচে প্রবেশপথে সিসি টিভি স্থাপন করা হবে, যাতে উৎস নির্ধারণ করা যায় এবং যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, ফার্মগেট পার্ক মাঠের ৬৫ শতাংশ এলাকা সম্প্রতি জনগণকে নিরাপত্তা ও ট্রেন ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
ডিএমটিসিএল-এর এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে মেট্রো রেলের যাত্রীসুরক্ষা, ট্র্যাকের নিরাপত্তা এবং সার্বিক চলাচল ব্যবস্থার কার্যকারিতা আরও উন্নত হবে। নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবহন নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে।


