প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়ালো

প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়ালো

 

জাতীয় ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের মধ্যে “পোস্টাল ভোট বিডি” অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৬ এবং নারী ভোটার ১৭ হাজার ৫৮২ জন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, নিবন্ধিত প্রবাসীদের নির্ধারিত সময়ে তাদের ঠিকানায় ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।

এ বছরই প্রথমবারের মতো ইসি আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্যবস্থায় প্রবাসী ভোটার, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোট প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা অংশ নিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমন দেশে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ইত্যাদি।

নিবন্ধিত প্রবাসীদের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোটাররা ভোট পূরণ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফেরত খামে পাঠাবেন। ইসি জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোট প্রদান করলে প্রবাসীরা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।

ইসি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি লক্ষ্য করেছে, প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করানো। প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশে ভোটারদের অ্যাপে নিবন্ধন কার্যক্রম সচল রয়েছে।

নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া আইটি সাপোর্টেড হওয়ায় সময়সাপেক্ষ ও জটিল প্রক্রিয়া সহজভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের সরাসরি ভোট প্রদান জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ